ই-মার্কেটিং

বিনিয়োগ (Investment )

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ই-মার্কেটিং - ই-মার্কেটের সম্ভাব্যতা ও সম্ভাবনা | NCTB BOOK

সাধারণত যেকোনো মানুষ তার আয় থেকে সঞ্চয় করে থাকে। এরূপ সঞ্চিত অর্থ যখন উৎপাদন বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে বিনিয়োগ বলে। উল্লেখ্য যে, বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে। মনে করো, একটি কারখানায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে ১০ লক্ষ টাকার মূলধন সামগ্রী আছে। উক্ত কারখানার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আরও ১ লক্ষ টাকার মূলধন সামগ্রী ক্রয় করা হলো। এখানে অতিরিক্ত ১ লক্ষ টাকাই হলো বিনিয়োগ।

প্রযুক্তির উন্নয়নে বর্তমানে ক্রেতারা খুব সহজে ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট থেকে তাদের পছন্দের পণ্যটি বাসায় বসেই ক্রয় করতে পারেন। বিশ্বব্যাপী অনলাইন ক্রেতাদের সংখ্যা (বাজার) বৃদ্ধি পাওয়ায় যে কেউ অনলাইন বিজনেসে বিনিয়োগ করতে পারে। অনলাইন ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা, তাদেরকে ধরে রাখা ইত্যাদি কার্যক্রমের জন্য বিনিয়োগ অত্যাবশ্যক। নিচে মার্কেটিং বিনিয়োগের ফলাফল রিটার্ন/পরিমাপ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

মার্কেটিং বিনিয়োগের ফলাফল (রিটার্ন) পরিমাপ ও ব্যবস্থাপনা (Measuring and Managing Return on Marketing Investment) : মার্কেটিং এর মূলনীতি হলো ক্রেতা সন্তুষ্টি করা। এক্ষেত্রে ক্রেতা সন্তুষ্ট থাকা মানেই হলো পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পাওয়া। আর পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধির ফলাফল হিসেবে কোম্পানির যা অর্জিত হয়, তা মুনাফা হিসেবে বিবেচিত। বর্তমান সময়ের বাজারজাতকারীরা তাদের অর্থ সুনির্দিষ্ট (Specific) মার্কেটিং খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। অন্যথায় তাদের বিনিয়োগের ফলাফল তেমন ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসতে পারে না। পূর্বে অনেক বাজারজাতকারীই স্বাধীনভাবে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করত এবং ব্যয়বহুল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করত। কিন্তু এরূপ বাজারজাতকরণ ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কী পরিমাণ আর্থিক সুবিধা (Return) পাওয়া যাবে, তা বাজারজাতকারীরা চিন্তা-ভাবনাও করত না। তারা মনে করত যে, মার্কেটিং কার্যক্রম তাদের জন্য অদৃশ্যমান ( Invisible) ফলাফল বয়ে নিয়ে আসবে। যার ফলে তারা তাদের কার্যক্রমের ফলাফল যথাযথভাবে পরিমাপ ও মূল্যায়ন করতে পারত না।

বর্তমান অবস্থা এখন আর আগের মতো নয়। প্রত্যেক বাজারজাতকারীই তার বিনিয়োগের ভিত্তিতে অধিক পরিমাণে সুবিধা (Return) অর্জন করতে চায়। তাই তারা তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত প্রাপ্তির (Return) বিষয়টি যথাযথভাবে পরিমাপ ও মূল্যায়ন করছে।

সাধারণ অর্থে, বাজারজাতকরণ বা মার্কেটিং বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত নিট ফেরতকে (Return) বিনিয়োগের ব্যয় দ্বারা ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, তাকে বাজারজাতকরণ বিনিয়োগের ফেরত/ফলাফল বা রিটার্ন বলে। এ প্রসঙ্গে Philip Kotler এবং Gary Armstrong বলেন, "Return on marketing investment is the net return from a marketing investment divided by the cost of the marketing investment." (বাজারজাতকরণ বিনিয়োগ হতে নিট ফেরতকে বিনিয়োগের খরচ দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, তাকে বাজারজাতকরণ বিনিয়োগের ফেরত বা রিটার্ন বলে)।

প্রকৃতপক্ষে, মার্কেটিং বিনিয়োগের ফলাফল/ফেরত পরিমাপ করা কোনো সহজ বিষয় নয়। তথাপিও বর্তমানে অসংখ্য কোম্পানি মার্কেটিং বিনিয়োগের ফলাফল পরিমাপের জন্য ক্রেতামুখী পদ্ধতি (Customer oriented method) ব্যবহার করছে। এরূপ পদ্ধতিতে ক্রেতা আকর্ষণ, তাদেরকে ধরে রাখা, উৎকৃষ্ট ভ্যালু এবং সন্তুষ্টি প্রদানের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়। নিচের চিত্রে মার্কেটিং বিনিয়োগের ফলাফল/ফেরত পরিমাপের ক্রেতামুখী পদ্ধতিটি দেখানো হলো—

চিত্র : মার্কেটিং বিনিয়োগের ফলাফল/ফেরত
Content added By

আরও দেখুন...

Promotion